পোস্টগুলি

Technical Analysis লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ADX (Average Directional Index) কী?

ছবি
 ADX বা Average Directional Index হল একটি টেকনিক্যাল ইনডিকেটর, যা বাজারের ট্রেন্ডের শক্তি (Strength) পরিমাপ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। ADX ট্রেন্ডের দিক নির্ধারণ করে না; এটি শুধুমাত্র ট্রেন্ড কতটা শক্তিশালী বা দুর্বল তা নির্দেশ করে। ADX ০ থেকে ১০০ এর মধ্যে একটি মান প্রদান করে। ADX সাধারণত দুইটি লাইন সহ ব্যবহৃত হয়: +DI (Positive Directional Indicator): আপট্রেন্ডের শক্তি নির্দেশ করে। -DI (Negative Directional Indicator): ডাউনট্রেন্ডের শক্তি নির্দেশ করে। ADX এর মানের ব্যাখ্যা ০-২৫: ট্রেন্ড দুর্বল বা সাইডওয়ে মার্কেট। ২৫-৫০: শক্তিশালী ট্রেন্ড। ৫০-৭৫: খুব শক্তিশালী ট্রেন্ড। ৭৫-১০০: অস্বাভাবিক শক্তিশালী ট্রেন্ড (বিরল)। ADX এর গণনা (Calculation) ADX গণনা করতে ৩টি ধাপ রয়েছে: True Range (TR) এবং Directional Movement (DM) গণনা: TR (True Range): T R = max ⁡ ( ( H i g h − L o w ) , ∣ H i g h − P r e v i o u s C l o s e ∣ , ∣ L o w − P r e v i o u s C l o s e ∣ ) TR = \max\big((High - Low), |High - Previous Close|, |Low - Previous Close|\big) TR = max ( ( H i g h − L o w ) , ∣ H i g h − P...

ATR (Average True Range) কী?

 ATR বা Average True Range একটি টেকনিক্যাল ইনডিকেটর, যা বাজারের ভোলাটিলিটি (মূল্যের ওঠানামার মাত্রা) পরিমাপ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি ১৯৭৮ সালে জে. ওয়েলস ওয়াইল্ডার (J. Welles Wilder) তৈরি করেন। ATR কোনো নির্দিষ্ট দিক নির্দেশ করে না; এটি শুধুমাত্র বাজার কতটা স্থিতিশীল বা অস্থির তা চিহ্নিত করে। ATR বেশি হলে বাজারে ভোলাটিলিটি বেশি এবং কম হলে ভোলাটিলিটি কম বোঝায়। ATR এর গণনা (Formula) ATR মূলত True Range (TR) এর উপর ভিত্তি করে কাজ করে। TR তিনটি মানের মধ্যে সর্বোচ্চ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়: T R = max ⁡ ( ( H i g h − L o w ) , ∣ H i g h − P r e v i o u s C l o s e ∣ , ∣ L o w − P r e v i o u s C l o s e ∣ ) TR = \max \big((High - Low), |High - Previous Close|, |Low - Previous Close|\big) TR = max ( ( H i g h − L o w ) , ∣ H i g h − P re v i o u s Cl ose ∣ , ∣ L o w − P re v i o u s Cl ose ∣ ) এরপর, ATR গণনা করা হয়: A T R = Previous ATR × ( n − 1 ) + T R n ATR = \text{Previous ATR} \times (n-1) + \frac{TR}{n} A TR = Previous ATR × ( n − 1 ) + n TR ​ যেখানে: n = নির্ধারিত প...

VWAP (Volume-Weighted Average Price) কী?

ছবি
VWAP বা Volume-Weighted Average Price হল একটি টেকনিক্যাল ইনডিকেটর, যা নির্দিষ্ট সময়সীমার জন্য বাজারের গড় দাম এবং ট্রেডিং ভলিউমের উপর ভিত্তি করে কাজ করে। এটি দেখায় যে নির্দিষ্ট সময়ে বাজারের গড় মূল্য কী ছিল, যেখানে ট্রেডিং ভলিউমকে বিবেচনায় নেওয়া হয়। VWAP সাধারণত দিনভিত্তিক ট্রেডিংয়ে ব্যবহার করা হয় এবং দিনশেষে এটি পুনরায় শুরু হয়। VWAP এর গণনা (Formula) VWAP গণনার মূল সূত্র হলো: V W A P = ∑ ( P r i c e × V o l u m e ) ∑ V o l u m e VWAP = \frac{\sum (Price \times Volume)}{\sum Volume} VW A P = ∑ V o l u m e ∑ ( P r i ce × V o l u m e ) ​ যেখানে: Price = প্রতি ট্রেডের গড় দাম (High + Low + Close) / 3 Volume = ট্রেডের পরিমাণ VWAP কী নির্দেশ করে? বাজারের গড় দাম: VWAP নির্দেশ করে বাজারের ওজনকৃত গড় দাম, যা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি মানদণ্ড। ট্রেন্ডের দিক: প্রাইস যদি VWAP এর উপরে থাকে, তাহলে বাজার বুলিশ (উর্ধ্বমুখী) থাকতে পারে। প্রাইস যদি VWAP এর নিচে থাকে, তাহলে বাজার বেয়ারিশ (নিম্নমুখী) থাকতে পারে। VWAP ব্যবহার করে ট্রেডিং কৌশল 1. বাই এবং সেল সংকেত বাই (Buy): যদ...

সুপারট্রেন্ড (Supertrend) কী?

ছবি
সুপারট্রেন্ড একটি সহজ কিন্তু কার্যকর টেকনিক্যাল ইনডিকেটর, যা বাজারের ট্রেন্ড চিহ্নিত করতে এবং ট্রেডিং সংকেত (বাই বা সেল) প্রদান করতে ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত ট্রেন্ড-ফলোয়িং ইনডিকেটর এবং বাজারের দামের ওপরে বা নিচে প্রদর্শিত হয়। সুপারট্রেন্ড ইনডিকেটরটি নির্দিষ্ট প্যারামিটার, যেমন পিরিয়ড (Period) এবং মাল্টিপ্লায়ার (Multiplier) ব্যবহার করে দামের ওঠানামার উপর ভিত্তি করে কাজ করে। সুপারট্রেন্ডের গঠন এবং কাজের পদ্ধতি সুপারট্রেন্ড মূলত বাজারের ভোলাটিলিটি (উচ্চ-নিম্ন দামের ওঠাপড়া) নির্ধারণ করতে ATR (Average True Range) ব্যবহার করে। যখন প্রাইস সুপারট্রেন্ড লাইনের ওপরে থাকে, তখন এটি একটি বাই (Buy) সংকেত। যখন প্রাইস সুপারট্রেন্ড লাইনের নিচে থাকে, তখন এটি একটি সেল (Sell) সংকেত। ফর্মুলা (Supertrend Calculation) সুপারট্রেন্ড দুইভাবে গণনা করা হয়: আপারব্যান্ড (Upper Band): Upper Band = (High + Low) / 2 + ( M u l t i p l i e r × A T R ) \text{Upper Band} = \text{(High + Low) / 2} + (Multiplier \times ATR) Upper Band = (High + Low) / 2 + ( M u lt i ...

RSI (Relative Strength Index) কী?

ছবি
 RSI বা Relative Strength Index একটি জনপ্রিয় টেকনিক্যাল ইনডিকেটর, যা বাজারের ওভারসোল্ড (অত্যধিক বিক্রয়) এবং ওভারবট (অত্যধিক ক্রয়) অবস্থান চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত একটি মোমেন্টাম ইনডিকেটর, যা দামের পরিবর্তনের গতি এবং ট্রেন্ডের শক্তি পরিমাপ করে। RSI এর মান ০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে এবং সাধারণত ১৪-পিরিয়ডের ডেটার উপর ভিত্তি করে গণনা করা হয়। RSI এর গণনা (Formula) RSI গণনার মূল ফর্মুলা হলো: R S I = 100 − ( 100 1 + R S ) RSI = 100 - \left( \frac{100}{1 + RS} \right) RS I = 100 − ( 1 + RS 100 ​ ) যেখানে, R S = গড় আপ ক্লোজিং গড় ডাউন ক্লোজিং RS = \frac{\text{গড় আপ ক্লোজিং}}{\text{গড় ডাউন ক্লোজিং}} RS = গড়   ডাউন   ক্লোজিং গড়   আপ   ক্লোজিং ​ RSI এর মান বেশি হলে বাজারে অতিরিক্ত ক্রয় (Overbought) এবং কম হলে অতিরিক্ত বিক্রয় (Oversold) বোঝায়। RSI এর মূলস্তর (Key Levels) 70 এবং তার উপরে: বাজার ওভারবট অবস্থা নির্দেশ করে। এখানে প্রাইস কমার সম্ভাবনা থাকে। 30 এবং তার নিচে: বাজার ওভারসোল্ড অবস্থা নির্দেশ করে। এখানে প্রাইস বাড়ার সম্ভা...

ফিবোনাচি রিট্রেসমেন্ট (Fibonacci Retracement) কী?

ছবি
 ফিবোনাচি রিট্রেসমেন্ট একটি টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস টুল, যা বাজারের সম্ভাব্য সাপোর্ট (Support) এবং রেজিস্ট্যান্স (Resistance) লেভেল চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত হয়। এটি একটি নির্দিষ্ট ট্রেন্ডের মধ্যে দামের সাময়িক বিপরীতমুখী মুভমেন্টকে (Retracement) চিহ্নিত করে। ফিবোনাচি রিট্রেসমেন্টের গণনা বিখ্যাত ফিবোনাচি সিরিজ ের উপর ভিত্তি করে করা হয়, যেখানে এক সংখ্যার সাথে পরবর্তী সংখ্যার অনুপাত সর্বদা নির্দিষ্ট হার বজায় রাখে। এই হারগুলোই রিট্রেসমেন্ট লেভেল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।  ফিবোনাচি রিট্রেসমেন্ট একটি জনপ্রিয় প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ টুল, যা বাজারের প্রবণতায় সম্ভাব্য রিভার্সাল বা সংশোধন স্তর চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত হয়। এটি ফিবোনাচি সংখ্যার উপর ভিত্তি করে তৈরি, যেখানে মূল স্তরগুলো হলো ২৩.৬%, ৩৮.২%, ৫০%, ৬১.৮%, এবং ১০০%। ট্রেডাররা একটি মূল প্রবণতার শুরুর বিন্দু থেকে শেষ বিন্দু পর্যন্ত ফিবোনাচি রিট্রেসমেন্ট লাইন আঁকেন, যা বাজারে সম্ভাব্য সাপোর্ট এবং রেসিস্ট্যান্স স্তর নির্দেশ করে। এই টুল ব্যবহার করে ট্রেডাররা বুঝতে পারেন কোন স্তরে দাম সংশোধিত হতে পারে এবং এটি আবার মূল প্রবণতার দিকে যেতে পারে। ফিবো...

মুভিং এভারেজ (Moving Average) কী?

ছবি
 মুভিং এভারেজ একটি জনপ্রিয় টেকনিক্যাল ইনডিকেটর, যা একটি নির্দিষ্ট সময়ে গড় মূল্য গণনা করে। এটি মূল্যের ওঠানামার গতিপ্রকৃতি বোঝাতে সাহায্য করে এবং বাজারের ট্রেন্ড সহজে চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত হয়। মুভিং এভারেজ মূলত অতীতের দামের তথ্য ব্যবহার করে এবং বর্তমান মূল্যের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত নয়, তাই এটি ল্যাগিং ইনডিকেটর । মুভিং এভারেজের ধরণ মুভিং এভারেজ মূলত দুই প্রকার: সিম্পল মুভিং এভারেজ (Simple Moving Average - SMA): এটি একটি নির্দিষ্ট সময়ের গড় দাম গণনা করে। উদাহরণ: ১০ দিনের SMA মানে শেষ ১০ দিনের ক্লোজিং প্রাইসের গড়। ফর্মুলা: S M A = সর্বমোট মূল্য (নির্দিষ্ট সময়ের জন্য) দিনের সংখ্যা SMA = \frac{\text{সর্বমোট মূল্য (নির্দিষ্ট সময়ের জন্য)}}{\text{দিনের সংখ্যা}} SM A = দিনের   সংখ্যা সর্বমোট   মূল্য  ( নির্দিষ্ট   সময়ের   জন্য ) ​ এক্সপোনেনশিয়াল মুভিং এভারেজ (Exponential Moving Average - EMA): EMA সাম্প্রতিক মূল্যের দিকে বেশি গুরুত্ব দেয়, তাই এটি দ্রুত বাজারের পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে। এটি দ্রুততর সংকেত প্রদান করে, যা স্...

কোন টাইম ফ্রেমে ট্রেডিং করা উচিত?

ছবি
ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে সঠিক টাইম ফ্রেম নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি নির্ভর করে আপনার ট্রেডিং স্টাইল, লক্ষ্য, এবং সময়ের উপর। এই ব্লগে আমরা বিভিন্ন টাইম ফ্রেম নিয়ে আলোচনা করব এবং কীভাবে আপনার জন্য সঠিক টাইম ফ্রেম নির্বাচন করবেন তা বুঝিয়ে দেব। টাইম ফ্রেম কী? টাইম ফ্রেম হলো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একটি চার্টে দামের ওঠা-নামা দেখানোর একটি পদ্ধতি। উদাহরণস্বরূপ, ১-মিনিট টাইম ফ্রেমে প্রতিটি ক্যান্ডেল বা বার এক মিনিটের মূল্য পরিবর্তন দেখায়। টাইম ফ্রেম সাধারণত তিনটি ভাগে বিভক্ত: শর্ট-টার্ম (স্বল্পমেয়াদী): যেমন ১ মিনিট, ৫ মিনিট, ১৫ মিনিট মিড-টার্ম (মধ্যমেয়াদী): যেমন ১ ঘন্টা, ৪ ঘন্টা, দৈনিক লং-টার্ম (দীর্ঘমেয়াদী): যেমন সাপ্তাহিক, মাসিক টাইম ফ্রেম অনুযায়ী ট্রেডিং স্টাইল স্ক্যাল্পিং (Scalping):  স্ক্যাল্পিং ট্রেডিং হলো একটি স্বল্পমেয়াদী কৌশল, যেখানে ট্রেডাররা দ্রুত মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে ছোট প্রাইস মুভমেন্টকে কাজে লাগায়। এই কৌশলে টাইম ফ্রেম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ট্রেডের সময়কাল নির্ধারণ করে। সাধারণত, স্ক্যাল্পিংয়ের জন্য ১ মিনিট থেকে ৫ মিনিট টাইম ফ্রেম সবচেয়ে বেশি ব্যবহ...

শেয়ারবাজারে ভলিউম বিশ্লেষণ: একটি বিস্তৃত আলোচনা

ছবি
 শেয়ারবাজারে ভলিউম (Volume) হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা বাজারে স্টকের লেনদেনের পরিমাণ নির্দেশ করে। ভলিউম বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারী ও ট্রেডাররা শেয়ারের গতিপ্রকৃতি, বাজারের শক্তি, এবং ভবিষ্যৎ প্রবণতা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে পারেন।ভলিউম বাজারের লেনদেনের মোট পরিমাণকে নির্দেশ করে এবং এটি কোনো সম্পদের প্রাইস অ্যাকশন বিশ্লেষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি দেখায় যে নির্দিষ্ট সময়ে কতগুলি শেয়ার বা চুক্তি কেনাবেচা হয়েছে, যা বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতার সক্রিয়তা এবং আগ্রহের প্রতিফলন। ভলিউম বেশি হলে বুঝা যায় যে বাজারের চলমান প্রবণতা শক্তিশালী এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে। অন্যদিকে, কম ভলিউম দুর্বল প্রবণতা বা বাজারের স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দেয়। ভলিউম ট্রেন্ড নিশ্চিত করতে সহায়ক, যেমন একটি ঊর্ধ্বমুখী প্রাইস মুভমেন্ট যদি উচ্চ ভলিউম সহ হয়, তবে সেটি একটি শক্তিশালী বুলিশ সংকেত প্রদান করে। বিপরীতে, নিম্নমুখী প্রাইস মুভমেন্টের সাথে উচ্চ ভলিউম বিয়ারিশ মনোভাব নির্দেশ করে। ভলিউম সূচক, যেমন ভলিউম ওসিলেটর বা অন-ব্যালেন্স ভলিউম (OBV), ব্যবহার করে ট্রেডাররা বাজারের ...

শেয়ারবাজারে সাপোর্ট এবং রেসিস্ট্যান্স: বিস্তারিত আলোচনা

ছবি
শেয়ারবাজারে সাপোর্ট (Support) এবং রেসিস্ট্যান্স (Resistance) হল দুটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা, যা মূলত প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের অংশ। এই দুইটি ধারণা ব্যবহার করে বিনিয়োগকারী এবং ট্রেডাররা বাজারের মূল্যের গতিপ্রকৃতি এবং সম্ভাব্য পরিবর্তন সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারেন। সাপোর্ট এবং রেসিস্ট্যান্স কী? সাপোর্ট (Support): সাপোর্ট একটি নির্দিষ্ট মূল্যস্তর, যেখানে বাজারের ক্রেতারা সক্রিয় হয় এবং মূল্যের পতন থামিয়ে দেয়।সাপোর্ট একটি টেকনিক্যাল স্তর, যেখানে বাজারের দাম নিম্নমুখী হওয়ার সময় ক্রেতাদের আগ্রহ বৃদ্ধি পায় এবং বিক্রেতাদের চাপ দুর্বল হয়ে যায়, ফলে দাম ওই স্তরে স্থিতিশীল বা উল্টে ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। এটি এমন একটি অঞ্চল, যেখানে ক্রেতারা সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং বাজারে নতুন এন্ট্রি নেয়, যা দামকে আরও নিচে নামা থেকে বাধা দেয়। সাপোর্ট লেভেল সাধারণত অতীতের দামের নিম্নতম বিন্দু বা গুরুত্বপূর্ণ টুল, যেমন মুভিং অ্যাভারেজ বা ফিবোনাচি রিট্রেসমেন্ট, দিয়ে নির্ধারণ করা যায়। যখন একটি সাপোর্ট স্তর ভেঙে যায়, তখন এটি নতুন রেসিস্ট্যান্স স্তরে পরিণত হয়। সাপোর্ট লেভেলে বুলিশ ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন, যেমন হ্...

শেয়ারবাজারে লিকুইডিটি: বিস্তারিত আলোচনা

  লিকুইডিটি (Liquidity) হল একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা, যা বাজারে লেনদেনের গতিশীলতা এবং সুবিধাজনকভাবে সম্পদ কেনা-বেচার ক্ষমতা নির্দেশ করে। শেয়ারবাজারে লিকুইডিটি বুঝতে পারা বিনিয়োগকারী এবং ট্রেডারদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি বাজারের স্থিতিশীলতা এবং কার্যকারিতা সম্পর্কে ধারণা দেয়। লিকুইডিটি কী? লিকুইডিটি অর্থ বাজারের সেই ক্ষমতা, যার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা সহজেই তাদের সম্পদ নগদে রূপান্তর করতে পারে। শেয়ারবাজারে, লিকুইডিটি বোঝায় যে একটি স্টক কত সহজে এবং দ্রুত একটি ন্যায্য মূল্যে কেনা-বেচা করা যায়। লিকুইডিটির বৈশিষ্ট্য: উচ্চ লিকুইডিটি: স্টক সহজে বিক্রি বা কেনা যায়। লেনদেনের সময় দাম খুব বেশি ওঠানামা করে না। নিম্ন লিকুইডিটি: স্টক কেনা বা বিক্রি করা কঠিন। দাম ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হতে পারে। শেয়ারবাজারে লিকুইডিটির গুরুত্ব ১. সহজ লেনদেন: লিকুইডিটি বেশি হলে বিনিয়োগকারীরা দ্রুত এবং সহজে স্টক কেনা-বেচা করতে পারেন। ২. মূল্য স্থিতিশীলতা: উচ্চ লিকুইডিটি বাজারের দামের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। লেনদেনের সময় অতিরিক্ত মূল্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম থাকে। ৩. বাজারের কার্যকারিত...

ডাউ থিওরি: শেয়ারবাজার বিশ্লেষণের ভিত্তি

ছবি
ডাউ থিওরি (Dow Theory) হল আধুনিক প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের একটি অন্যতম প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। এটি মূলত চার্লস ডাউ (Charles Dow) দ্বারা প্রবর্তিত একটি তত্ত্ব, যা বাজারের গতিপ্রকৃতি এবং ট্রেন্ড বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে তৈরি। ডাউ থিওরি বিনিয়োগকারী ও ট্রেডারদের বাজারের দিকনির্দেশনা বুঝতে এবং সঠিক বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।এই তত্ত্ব বাজারের প্রবণতাগুলিকে তিনটি প্রধান ধাপে বিভক্ত করে: প্রাথমিক প্রবণতা (Primary Trend) , যা দীর্ঘমেয়াদী দিক নির্দেশ করে; মাধ্যমিক প্রবণতা (Secondary Trend) , যা প্রাথমিক প্রবণতার বিপরীতে স্বল্পমেয়াদী সংশোধন; এবং মাইনর প্রবণতা (Minor Trend) , যা স্বল্পমেয়াদী ওঠানামা। ডাও থিওরি অনুযায়ী, বাজার সবসময় প্রবণতা অনুসরণ করে এবং একটি প্রবণতা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন সূচকের মধ্যকার সমন্বয় প্রয়োজন। এছাড়া, এই তত্ত্বে ভলিউম এবং প্রাইস মুভমেন্টের গুরুত্বও ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ডাও থিওরি বিনিয়োগকারীদের বাজারের দিকনির্দেশনা এবং সম্ভাব্য রিভার্সাল নির্ধারণে সহায়তা করে, যা সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য অপরিহার্য। ডাউ থিওরি কী? ডাউ থিওরি এমন একটি তত্ত্ব যা বাজারের...

শেয়ারবাজার বা আর্থিক বাজারের ট্রেন্ড: কী এবং এটি কীভাবে চিহ্নিত করবেন?

শেয়ারবাজার বা আর্থিক বাজারের বিশ্লেষণে "ট্রেন্ড" (Trend) হল একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। এটি বাজারের দিকনির্দেশনা নির্দেশ করে, যা বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করে। বাজারে ট্রেন্ড বুঝতে পারলে বিনিয়োগের সঠিক সময় এবং পন্থা নির্ধারণ সহজ হয়। এই ব্লগে আমরা শেয়ারবাজারের ট্রেন্ডের প্রকারভেদ, ট্রেন্ড চিহ্নিত করার উপায় এবং ট্রেন্ড বিশ্লেষণের কৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। ট্রেন্ড কী? ট্রেন্ড হল বাজারের গতিবিধির দিকনির্দেশনা। এটি দীর্ঘমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী বা স্বল্পমেয়াদী হতে পারে। ট্রেন্ড নির্ধারণ করতে বাজারের মূল্য সময়ের সাথে কিভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করা হয়। ট্রেন্ডের প্রকারভেদ: ঊর্ধ্বমুখী ট্রেন্ড (Uptrend): যখন বাজারের মূল্য ক্রমাগত বাড়ছে।আপট্রেন্ড বাজারের সেই পরিস্থিতিকে নির্দেশ করে, যেখানে সম্পদের মূল্য ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে এবং প্রতিটি পরবর্তী সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন আগের তুলনায় বেশি হয়। এটি ক্রেতাদের শক্তিশালী উপস্থিতি এবং বাজারের ইতিবাচক মনোভাবের প্রতিফলন। আপট্রেন্ড সাধারণত একটি বুলিশ মার্কেটের লক্ষণ, যেখানে বিনিয়োগকারীরা ক্রমাগত...

বেয়ারিশ ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন: বিশদ বিবরণ ও ব্যবহার

ছবি
 বেয়ারিশ ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন (Bearish Candlestick Pattern) হল একটি গুরুত্বপূর্ণ চার্টিং পদ্ধতি যা বাজারের নিম্নমুখী প্রবণতার সংকেত প্রদান করে। এই প্যাটার্নগুলো বাজারে বিক্রেতাদের আধিপত্য নির্দেশ করে এবং ভবিষ্যতে দামের পতনের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়। শেয়ারবাজার, ফরেক্স, ক্রিপ্টোকারেন্সি, এবং অন্যান্য আর্থিক বাজারে ট্রেডারদের জন্য বেয়ারিশ প্যাটার্ন বোঝা এবং সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বেয়ারিশ ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন কী? বেয়ারিশ ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন এমন একটি চার্ট প্যাটার্ন যা নির্দেশ করে যে বাজারের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে চলেছে। এই প্যাটার্নগুলি সাধারণত উচ্চ প্রাইস থেকে নিম্ন প্রাইসের দিকে দামের পরিবর্তন বোঝায়। বৈশিষ্ট্য: ক্লোজিং প্রাইস ওপেনিং প্রাইসের চেয়ে কম হয়। বড় বডি এবং ছোট উইক/শ্যাডো থাকতে পারে। লাল বা কালো রঙের ক্যান্ডেল, যা দামের নিম্নগতি নির্দেশ করে। বেয়ারিশ ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্নের প্রকারভেদ বিভিন্ন ধরণের বেয়ারিশ ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন রয়েছে, যা বাজারের ভবিষ্যৎ গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়। ১. শুটিং স্টার (Shooting Star) শ...